আপনার যদি এমন কোন বন্ধু, প্রতিবেশী কিংবা নিকটজন থেকে থাকে—যে কিনা প্রচুর ডিপ্রেশনে থাকে এবং মাঝে মাঝেই আত্নহত্যা করতে চায় অথবা আপনার কাছে আত্নহত্যা করার আকুলতা প্রদর্শন করে তাহলে তার নিকট নিচের হাদিসগুলো পৌঁছে দিন।
আল্লাহ আযজা ওয়া জাল্লা বলেন,
“আর তোমরা নিজ হাতে নিজদেরকে ধ্বংসে নিক্ষেপ করো না।” [আল-বাকারা : ১৯৫]
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“যে ব্যক্তি দুনিয়াতে কোনো বস্তু দিয়ে নিজেকে হত্যা করবে, কিয়ামতের দিন তাকে সে বস্তু দিয়েই শাস্তি প্রদান করা হবে।” [বুখারী : ৫৭০০, মুসলিম : ১১০]
“যে ব্যক্তি নিজেকে পাহাড়ের ওপর থেকে নিক্ষেপ করে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নামে যাবে। সেখানে সর্বদা সে ওইভাবে নিজেকে নিক্ষেপ করতে থাকবে অনন্তকাল ধরে।
যে ব্যক্তি বিষপান করে আত্মহত্যা করবে, তার বিষ তার হাতে থাকবে। জাহান্নামে সর্বদা সে ওইভাবে নিজেকে বিষ খাইয়ে মারতে থাকবে অনন্তকাল ধরে।
যে কোনো ধারালো অস্ত্র দ্বারা আত্মহত্যা করবে তার কাছে জাহান্নামে সে ধারালো অস্ত্র থাকবে যার দ্বারা সে সর্বদা নিজের পেটকে ফুঁড়তে থাকবে।” [সহীহ বুখারী : ৫৪৪২, মুসলিম : ১০৯]
“তোমাদের পূর্বেকার এক লোক আহত হয়ে সে ব্যাথা সহ্য করতে পারেনি। তাই সে একখানা চাকু দিয়ে নিজের হাত নিজেই কেটে ফেলে। এর পর রক্তক্ষরণে সে মারা যায়। আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা নিজেকে হত্যা করার ব্যাপারে বড় তাড়াহুড়ো করে ফেলেছে। তাই আমি তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিলাম।” [বুখারী : ৩২৭৬, মুসলিম : ১১৩]
আত্মহত্যা তো দূরের কথা, মৃত্যু কামনাও বৈধ নয় :
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“তোমাদের কেউ যেন কোনো বিপদে পতিত হয়ে মৃত্যু কামনা না করে। মৃত্যু যদি তাকে প্রত্যাশা করতেই হয় তবে সে যেন বলে, ‘হে আল্লাহ আমাকে সে অবধি জীবিত রাখুন, যতক্ষণ আমার জীবনটা হয় আমার জন্য কল্যাণকর। আর আমাকে তখনই মৃত্যু দিন যখন মৃত্যুই হয় আমার জন্য শ্রেয়।” [বুখারী : ৫৬৭১, মুসলিম : ৬৯৯০]
এই বিষয়ে আমার একটি প্রশ্ন যে, কোন ব্যক্তি আত্মহত্যা করলে তার জানাযা সালাত আদায় করা যাবে কী?