বিয়ের জন্য পাত্র-পাত্রী নির্বাচন এবং তাদের পারস্পারিক সম্মতি আগে থেকেই নেওয়া থাকবে। বিয়ের দিন বাবা দুজন সাক্ষীর সামনে পাত্রকে বলবে– আমার মেয়েরকে এত মোহরের বিনিময়ে তোমার সাথে বিয়ে দিলাম। পাত্র কবুল বলবে। বিয়ের মোহরও পরিশোধ করে দিবে সাথে সাথেই।
বিয়ে সম্পন্ন হয়ে গেল। এবার বর তার সাধ্য মোতাবেক ওয়ালিমা করবে। ওয়ালীমাতে গরীব, ধনী সবাইকেই দাওয়াত দিবে। সবার দোয়ার মাধ্যমে শুরু হবে তাদের দাম্পত্য জীবন।
এটি হচ্ছে একটি ইসলামী বিয়ের সংক্ষিপ্ত নমুনা। যাতে কনের বাবার পকেট থেকে ২৫ পয়সাও খরচ হয় না!
অথচ আমাদের সমাজে বিয়েকে ঘিরে অনেক খরচ করা হয়। যার বেশিরভাগই অপচয়। ‘বরযাত্রী’ প্রথার মাধ্যমে কনের বাবার পকেট সাবাড় করা হয়। মেয়ে বড় হওয়ার সাথে সাথে বিয়ের খরচ নিয়ে চিন্তিত থাকে প্রতিটি বাবা।
একটি হাদিসে আছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয় সে বিয়ে বেশি বরকতপূর্ণ হয়, যে বিয়েতে খরচ কম হয়। [আহমাদ, শুয়াবুল ইমান]
বিয়ের মত পবিত্র সম্পর্ক অপচয় আর অশ্লীলতা দিয়ে যেন শুরু না হয়। আমাদের প্রত্যেকের জীবনে এটি একটি লক্ষ্য হওয়া উচিত।