আল্লাহর জন্য ভালবাসা

আল্লাহর জন্য ভালবাসা

দামেশকের মসজিদে একজন যুবক এসেছে। লোকজন তাঁর চারপাশে ভিড় করে আছে। তাঁরা নিজেদের মধ্যে কথা বলার সময় যেসব বিষয়ে মতভেদ করছে, সেসব বিষয়ে তাঁরা ঐ যুবকের সিদ্ধান্ত মেনে নিচ্ছে। সাধারণত গণ্যমান্য কোনো ব্যক্তি না হলে কেউ এমনভাবে কোনো আগন্তুকের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে নেয় না।

তাবেয়ী আবু ইদরীস খাওলানী দূর থেকে বিষয়টি অবলোকন করছেন। তিনি একজনকে জিজ্ঞেস করলেন এই যুবক সম্পর্কে। জানতে পারলেন তিনি মুয়ায ইবন জাবাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু, আল্লাহর রাসূল ﷺ এর সাহাবী।

আবূ ইদরীস ফিরে গেলেন, সেদিন আর দেখা করলেন না কারণ এত মানুষের ভিড়ে তিনি ঠিকমত কথা বলার সুযোগ পাবেন না।

পরদিন সকাল বেলা তিনি মসজিদে গেলেন মুয়ায রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর সাথে একান্তে সাক্ষাৎ করতে। মসজিদে গিয়ে দেখেন মুয়ায আগেই চলে এসেছে এবং সালাত আদায় করছে।

আবু ইদরীস তাঁর সালাত শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করলেন। সালাত শেষে আবু ইদরীস মুয়াযকে সালাম দিলেন এবং বললেন, আল্লাহর কসম আমি আপনাকে আল্লাহর জন্য ভালবাসি!

মুয়ায আপ্লুত হয়ে বললেন, আল্লাহর জন্য?
তিনি বললেন, আল্লাহর জন্য!

এভাবে মুয়ায তিনবার জিজ্ঞেস করলেন। তিনি তিনবারই আল্লাহর জন্য ভালবাসার কথা বললেন।

এরপর মুয়ায তাকে কাছে টেনে নিলেন এবং বললেন, সুসংবাদ গ্রহন করো! কারণ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, ‘আল্লাহ তাআলা বলেছেন, আমার সন্তুষ্টি লাভের জন্য যারা পরস্পর পরস্পরকে ভালবাসে, একে অপরের সঙ্গে বসে, একে অপরের সাথে সাক্ষাৎ করে এবং একে অপরের জন্য খরচ করে, তাদের জন্য আমার ভালবাসা ওয়াজিব হয়ে যায়।

আপনিও যদি কাউকে আল্লাহর জন্য ভালবাসেন, তাকে জানিয়ে দিন। কারণ নবী ﷺ বলেছেন, যখন কোন মানুষ তার ভাইকে ভালবাসে, তখন সে যেন তাকে জানিয়ে দেয় যে, সে তাকে ভালবাসে।

তাকে আল্লাহর জন্য ভালবাসলে তার সাথে সাক্ষাৎ করুন, দাওয়াত দিন, পারলে কিছু হাদিয়া দিন। এসব কিছু যদি সত্যি সত্যিই আল্লাহর জন্য হয় তাহলে রাসূল ﷺ এর ভাষ্য অনুযায়ী আল্লাহর ভালবাসা আপনার উপরে ওয়াজিব হয়ে যাবে। [মুয়াত্তা : ১৭৭৮-৭৯]

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *