আমরাহ বিনতে আব্দুর রহমান ছিলেন উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা রদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহার খুব কাছের ছাত্রী। তিনি আয়েশার কাছেই বড় হয়েছিলেন। আমরাহ -এর দাদা ছিলেন রাসূল ﷺ -এর একজন সাহাবী।
একবার ইমাম যুহরীকে তার উস্তায কাসিম ইবন মুহাম্মাদ পরামর্শ দিলেন আমরাহ বিনতে আব্দুর রহমানের দারসে বসতে। ইমাম যুহরী তাঁর দারস থেকে ফিরে এসে বললেন– “সে (আমরাহ) একজন সীমাহীন জ্ঞানের সাগর।”
একবার এক খ্রীস্টান চোর লোহার কিছু আংটি চুরি করল। চুরি প্রমাণিত হওয়ার পর মদীনার বিচারক তার শাস্তি স্বরুপ হাত কেটে ফেলার রায় দিলেন। এই রায়ের কথা আমরাহ যখন জানতে পারলেন তখন তিনি জলদি করে তার এক ছাত্রীকে কাজীর কাছে পাঠালেন এবং জানাতে বললেন যে, তার হাত কাটা যাবেনা। কারণ কেউ যদি এমন কোনো জিনিস চুরি করে যার মূল্য এক-চতুর্থাংশ দিনারের চাইতে কম তাহলে চুরির জন্য তার কোনো শাস্তি নেই।
এই কথা শোনার সাথে সাথে কাজী সেই চোরকে মুক্তি দিলেন। তিনি দ্বিতীয়বার এই তথ্যের সঠিকতা যাচাইয়ের প্রয়োজনবোধ করলেন না। কারণ আমরাহ ছিলেন সবার নিকট অত্যন্ত বিশ্বস্ত একজন ফকীহ এবং আলিমা।
আমরা প্রায়ই যেসব বড় বড় আলিমদের নাম হাদিসগ্রন্থে দেখি তাদের অনেকেই আমরাহ রহিমাহাল্লাহ -এর ছাত্র-ছাত্রী ছিলেন। হাদিস সংকলনকারী সকল ইমাম আমরাহ রহিমাহাল্লাহকে অত্যন্ত বিশ্বস্ত ফকীহ, মুহাদ্দিস এবং রাবী হিসেবে গ্রহণ করেছেন।