সারাদিন ভ্রমণের পর এক অজানা শহরে এসে পৌঁছলেন ক্লান্ত এক বৃদ্ধ। রাতটুকু কাটানোর জন্য একটি ঠায় খুঁজছেন তিনি। রাত হলে এশার সালাত আদায় করার জন্য একটি মসজিদে গেলেন তিনি। সিদ্ধান্ত নিলেন রাতটুকু সেখানেই কাটানোর।
সালাত শেষে ঘুমোবার জন্য তিনি প্রস্তুত হচ্ছিলেন ঠিক তখনই মসজিদের খাদেম বাধা দিল, রাতে থাকা যাবে না বলে। অনেক অনুরোধের পরও সেখানে থাকার অনুমতি পেলেন না বৃদ্ধ।
দূর থেকে এক রুটি বিক্রেতা পুরো ঘটনাটি দেখছিলেন। তাঁর মনে দয়ার উদ্রেক হল। রাস্তায় বসে থাকা অসহায় বৃদ্ধকে তিনি নিজের রুটির দোকানে রাত কাটানোর ব্যবস্থা করে দেবেন বলে সিদ্ধান্ত নিলেন।
রাস্তা থেকে তুলে বৃদ্ধকে নিয়ে এলেন তাঁর দোকানে। ঘুমের ব্যবস্থা করে দিয়ে রুটি বানানোর কাজে ব্যস্ত হলেন তিনি। বৃদ্ধ খেয়াল করলেন, রুটি বিক্রেতা রুটি বানাচ্ছে আর কি যেন চুপি চুপি পড়ছে। ভাল করে শুনে বুঝতে পারলেন রুটি বিক্রেতা আল্লাহর যিকির আর ইস্তেগফার করছেন আর রুটি বানাচ্ছেন।
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে বৃদ্ধ লোকটি তাকে জিজ্ঞেস করলেন গত রাতে তাঁর যিকির আর ইস্তেগফার সম্পর্কে। তিনি বললেন, এটি আমার নিয়মিত অভ্যাস। আমি এমনটিই করে থাকি।
বৃদ্ধ তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার এই আমলের কোন বিশেষ প্রতিদান পেয়েছ কি?
রুটি বিক্রেতা জবাব দিলেন, আল্লাহ আমার সকল দু’আ কবুল করেছেন, কিন্তু একটি দু’আ এখনো কবুল হয়নি।
বৃদ্ধ আশ্চর্যান্বিত হয়ে জানতে চাইলেন যে তাঁর কোন দু’আটি এখনো কবুল হয়নি।
রুটি বিক্রেতা তখন বলল, আমি বিখ্যাত আলিম ইমাম আহমাদের সাক্ষাৎ লাভের দু’আ করেছি যা এখনো আল্লাহ কবুল করেননি।
এই কথা শুনে বৃদ্ধ কেঁদে দিলেন এবং বললেন, ‘আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তোমার দুআ শুনেছেন এমনকি তিনি ইমাম আহমাদকে টেনে হিঁচড়ে তোমার দরজায় এনে উপস্থিত করেছেন! আমিই সেই লোক যাকে তোমরা ইমাম আহমাদ নামে জানো!
– ড মুহাম্মাদ সালাহ এর পেজ থেকে সংগৃহীত এবং অনূদিত।