জ্বীবিকা বনাম ইলম

জ্বীবিকা বনাম ইলম

উমার রদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু ও তাঁর এক প্রতিবেশী পালাক্রমে রাসূল ﷺ -এর দরবারে যেতেন। তিনি বলেন ও আমার এক আনসারী প্রতিবেশী। আমরা দুজনে পালাক্রমে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর দরবারে যেতাম। একদিন সে যেতো, আরেকদিন আমি যেতাম। যেদিন আমি যেতাম, সেদিন ﷺ এর নিকট ওহী ও অন্যান্য খবরাখবর নিয়ে আসতাম এবং তাকে বলতাম। পরের দিন সে গেলেও একই কাজ করতো।

ইবনে হাজার রহিমাহুল্লাহ ইমাম বুখারী রহিমাহুল্লাহ থেকে বর্ণিত এই হাদিসের টিকায় বলেন, প্রকৃত ইলম পিপাসু তার জীবনোপকরণ ও পরিবারের দেখাশোনা করা থেকে যেমনিভাবে গাফিল হয়না, তেমনি ইলম অর্জনের মূল দায়িত্ব থেকেও গাফিল হয়না। এমনকি জীবিকা উপার্জনের জন্য কোনদিন যদি সে ইলমি মজলিসে উপস্থিত হতে না পারে, তাহলে ছুটে যাওয়া ইলম হাসিল করার জন্য বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে সে তা অর্জন করে নেয়। ছুটে যাওয়া ইলমও তারা পরে অর্জন করে নিতেন৷ কারণ তারা মনে করতেন যে, ইলম অর্জন করাটা তাদের আসল কাজ।

অথচ আজ ইলম অর্জন করা আমাদের অতিরিক্ত কাজ। আর অন্য সকল কাজ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে পরিণত হয়েছে। এ তো অধিক বলে ফেললাম। কারণ, আজকাল ছাত্ররা মূলত দরস থেকেই অনুপস্থিত থাকে!
[ব্যস্ততার এ যুগে ইলম অন্বেষণ]

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *