আলেমগণ আমাদের মাথার মুকুট। আমাদের শিক্ষক। আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল ﷺ তাদের এই মর্যাদায় ভূষিত করেছেন। আল্লাহ বলেছেন, তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে আল্লাহ তাদেরকে মর্যাদায় সমুন্নত করবেন। [সূরা আল-মুজাদালাহ : ১১]
রাসূল ﷺ আলেগমগণকে নবীগণের ওয়ারিশ সাব্যস্ত করেছেন। [তিরমিজী : ২৬৮২]
আবু দারদা রাদ্বিয়াল্লাহ আনহু বলেন, “তোমরা আলেম হও, নয়ত তালেবে ইলম হও, অথবা আলেমদের ভালোবাস, কিংবা তাদের অনুসরণকারী হও। আর (এই চারপ্রকার বাদ দিয়ে) তোমরা পঞ্চম প্রকার হয়ো না”। পঞ্চম প্রকার হচ্ছে – একব্যাখ্যায় বিদআতী; অন্য ব্যাখ্যানুযায়ী সেসব লোক যারা আলেমদের প্রতি বিদ্বেষ ও শত্রুতা রাখে। [শুয়াবুল ঈমান, মাযমাউয যাওয়ায়েদ]
আলেমগন দ্বীনকে ভ্রান্তপন্থীদের বিকৃতি ও অজ্ঞদের অপব্যাখ্যা থেকে রক্ষা করেন। দ্বীন শিখতে তাঁদের কাছেই ছুটে যেতে হয় আমাদের। মূর্খতা একটি ব্যাধি যার ওষুধ হলো ইলম। যেমন রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, নিশ্চয় অজ্ঞতার চিকিৎসা হলো জিজ্ঞাসা। [আবূ দাঊদ : ৩৩৬]