বিবাহ : রুকন ও শর্ত

বিবাহ : রুকন ও শর্ত

বিয়ের রুকন বা খুঁটি তিনটি :
১. বর ও কনের বিয়ে বৈধ হওয়া : বর ও কনে পরস্পর মাহরাম না হওয়া অর্থাৎ আল্লাহ যাদের সাথে চিরতরে বিয়ে হারাম করে দিয়েছেন তাদের কারও সাথে বিয়ে করা চিরদিনের জন্য হারাম। এ সংক্রান্ত দুটি লিস্ট কমেন্টে দেওয়া আছে।

২. ইজাব বা প্রস্তাবনা : প্রস্তাবনা মেয়ের অভিভাবকের পক্ষ থেকে হয়। অর্থাৎ মেয়ের অভিভাবক বরকে বলবে যে, আমি আমার অমুককে (মেয়ে, ভাতিজি, বোন ইত্যাদিকে) তোমার সাথে এত মোহরের বিনিময়ে বিয়ে দিলাম” –এধরণের বাক্য বলা।

৩. কবুল : আমাদের দেশে সাধারণত কনে এবং বর উভয়কে আলাদা আলাদাভাবে কবুল বলানো হয়। বিয়ের সঠিক নিয়মানুযায়ী কবুল শুধু বর বলবে। কবুল হল বরের পক্ষ থেকে প্রস্তবনা বা ইজাবের সম্মতিসূচক বাক্য।

বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার শর্তসমূহ :

১. বর এবং কনেকে নির্দিষ্ট করা : নাম উল্লেখ বা ইশারার মাধ্যমে উভয় পক্ষকে দেখিয়ে বা জানিয়ে দেওয়া যে, অমুকের সাথে অমুকের বিয়ে হচ্ছে।

২. সম্মতি এবং সন্তুষ্টি : বিয়েতে কনে এবং বর উভয়েরই সম্মতি থাকতে হবে। এছাড়া বিয়ে শুদ্ধ হবে না। আমাদের সমাজে জোর করে বিয়ে করা এবং বিয়ে দেওয়ার নজির দেখা যায়। এভাবে বিয়ে করা/দেওয়া বৈধ্য নয়।

৩. অভিভাবক : আল্লাহ তা‘আলা বিয়ে দেয়ার জন্য অভিভাবকদের প্রতি নির্দেশনা জারী করেছেন (সূরা নুর : ৩২)। আর রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: “যে নারী তার অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করবে তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল” [তিরমিযি, আবূ দাউদ]। সুতরাং বিয়ের জন্য অভিভাবকের সম্মতি শর্ত।

৪. সাক্ষী : আমাদের সমাজে বিয়ের ক্ষেত্রে আরেকটি ভুল লক্ষ্য করা যায় তা হল, কনের পক্ষ থেকে ২ জন এবং বরের পক্ষ থেকে ২ জন এভাবে মোট ৪ জন সাক্ষীর মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করা হয়। অনেক এলাকায় ‘উকিল বাবা’ এর প্রথাও চালু আছে। আসলে একটি বিয়ের জন্য মাত্র ২ জন সাক্ষীই যথেষ্ট। যারা সমগ্র বিয়ে অবলোকন করার মাধ্যমে বিয়ের সাক্ষী থাকবে। কোন বেনামাজী, ফাসিক, মুনাফিক ব্যক্তিকে সাক্ষী রাখা ঠিক নয়।

প্রবন্ধটির মূল তথ্য ইসলামকিউএ.কম (২১২৭) থেকে নেওয়া হয়েছে।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *