একটি শিশু ঠিক কত বছর বয়স থেকে কুরআন শিখতে শুরু করবে— এ সম্পর্কে ইসলাম ধরাবাঁধা কোনো বয়স নির্ধারণ করে দেয়নি। তবে আমরা আমাদের ইতিহাসগুলো পর্যালোচনা করলে দেখতে পাই— আমাদের প্রাচীন ইসলামি শিক্ষার প্রাথমিক স্তর ছিল মক্তব কেন্দ্রিক। সেখানে শিশুরা অল্প বয়সেই কুরআন শিক্ষা শুরু করতো। তারা ৫-৬ বছর মক্তবে পড়ে কুরআন হিফজ শেষ করতো। এরপর তারা মসজিদের দারসগুলোতে বসার মাধ্যমে উচ্চতর পড়াশোনা শুরু করতো।

যেমন আমরা ইমাম শাফেয়ি রহিমাহুল্লাহর একটি উদ্ধৃতি থেকে জানতে পারি— তিনি মায়ের কোলে থাকতেই এতিম হন এবং তাঁর মা তাকে মক্তবে পাঠিয়ে দেন। মক্তবে কুরআন হিফজ করার পর তিনি মসজিদের দারসগুলোতে বসতে শুরু করলেন। এভাবে তিনি আলেমদের নিকট থেকে ইলম অর্জনের মাধ্যমে হয়ে উঠলেন সে সময়কার বিখ্যাত মুহাদ্দিস ও ফক্বীহ।

সুতরাং বোঝা যাচ্ছে শিশু শব্দ, বাক্য, ভাষার সাধারণ জ্ঞান প্রাপ্ত হওয়ার পরেই কুরআন শিক্ষার জন্য উপযোগী হয়ে যায়।

তথ্যসূত্র : মুসলিমজাতি বিশ্বকে কী দিয়েছে – ড. রাগিব সারজানি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *