হাদীসে কুদসী ও কুরআনের মধ্যে পার্থক্য

হাদীসে কুদসী ও কুরআনের মধ্যে পার্থক্য

হাদীসে কুদসী ও কুরআনুল কারীমের মধ্যে কিছু পার্থক্য :

১. রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নিকট জিবরীল আলাইহিস সালাম কুরআনুল কারীম নিয়ে অবতরণ করেছেন, কিন্তু হাদীসে কুদসী তিনি লাভ করেছেন কখনো জিবরীল, কখনো ইলহাম, স্বপ্ন বা অন্য কোনো মাধ্যমে।

২. সম্পূর্ণ কুরআন মুতাওয়াতির সনদে বর্ণিত, কিন্তু হাদীসে কুদসী অনুরূপ নয়।

৩. কুরআনুল কারীমে ভুল অনুপ্রবেশ করতে পারে না, কিন্তু হাদীসে কুদসীতে কখনো কোনো বর্ণনাকারী ধারণার বশবর্তী হয়ে বর্ণনা করার সময় (অন্য হাদিসের মত) ভুল করতে পারে।

৪. সালাতে কুরআনুল কারীম তিলাওয়াত করা হয়, কিন্তু হাদীসে কুদসী তিলাওয়াত করা বৈধ নয়।

৫. কুরআনুল কারীম সূরা, আয়াত, পারা ও অংশ ইত্যাদিতে বিভক্ত, কিন্তু হাদীসে কুদসী অনুরূপ নয়।

৬. কুরআনুল কারীম তিলাওয়াত করলে সাওয়াব রয়েছে, কিন্তু হাদীসে কুদসীতে অনুরূপ তিলওয়াতের জন্য বিশেষ সওয়াব নেই।

৭. কুরআনুল কারীম কিয়ামত পর্যন্ত সর্বকালের জন্য মু‘জিযা।

৮. হাদীসে কুদসী আক্ষরিক অর্থ ব্যাতিরেকে শুধু ভাবার্থ বর্ণনা করা বৈধ, কিন্তু কুরআনুল কারীমের ভাবকে কুরআন হিসেবে বর্ণনা করা বৈধ নয়; অনুরূপভাবে কুরআনের ‘অর্থের’ তিলাওয়াতও বৈধ নয়।

এগুলো হচ্ছে কুরআনুল কারীম এবং হাদীসে কুদসীর মধ্যে মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ কিছু পার্থক্য।

সূত্র : সহিহ হাদিসে কুদসি ; মুস্তাফা আল-আদাওয়ী / ইসলাম হাউজ।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *