আবুবকর সিদ্দীক এবং উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা সাক্ষী ব্যতীত কোন হাদিস গ্রহণ করতেন না। আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হাদিস বর্ণনাকারী থেকে শপথ নিতেন। উসমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু সতর্কতার কারণে হাদিসই কম বর্ণনা করতেন। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ যখন হাদিস বর্ণনা করতেন তখন দায়িত্ববােধের কারনে তাঁর চেহারার রং পালটে যেত। যখন সাহাবীদের মধ্যে কারাে বার্ধক্যের কারনে স্বরণশক্তি কম হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা হত তখন তিনি হাদিস বর্ণনা ছেড়ে দিতেন যাতে ভুল কোন কথা রাসূল ﷺ নামে না চলে যায় । বৃদ্ধ অবস্থায় যায়েদ ইবনু আরকাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে কোন হাদিস জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলতেন– আমি বৃদ্ধ হয়ে গেছি। স্মরণশক্তি কম হয়ে গেছে। রাসূল ﷺ এর হাদিস বর্ণনা করা অত্যন্ত কঠিন কাজ। [ইত্তেবায়ে সুন্নাহ – মুহাম্মাদ ইকবাল কিলানী।]
এভাবে সর্তক থেকে সাহাবীগণ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম হাদিস গ্রহন এবং বর্ণনা করতেন। তাদের সতর্কতার কারণে আজ আমরা হাজার হাজার সহিহ হাদিস পেয়েছি। এভাবে তারা রাসূল ﷺ এর সুন্নাতকে হেফাজত করার দায়িত্ব পালন করেছিলেন। আমাদেরও দায়িত্ব হাদিস গ্রহণ এবং বর্ণনার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে রাসূল ﷺ এর সুন্নাতগুলোকে নিজেদের জীবনে প্রতিফলিত করা এবং এর হেফাজত করা।