নাবিল ইসলাম চর্চা শুরু করেছে। দুদিন আগেও সে নিয়মিত সালাত আদায় করতো না। কিন্তু তার অন্তরে ছিল ইসলামের প্রতি আকর্ষণ। অনেক অন্যায় এবং পাপ কাজে লিপ্ত থাকলেও তার অন্তরে ছিল ইমানের বীজ। যখন আযান হত তখন সে কম্পিউটারের স্পেস বাটনটি চেপে গান বন্ধ রাখতো। জানালায় দাড়িয়ে দেখতো মাদরাসার কিছু ছোট ছোট ছেলে সালাত আদায়ের জন্য মসজিদে যাচ্ছে। নাবিল ভাবতো তারাও মুসলিম, আমিও মুসলিম। তাদের জন্য রয়েছে আখিরাত, আমার জন্যও রয়েছে আখিরাত। তারা তাদের আখিরাতকে জান্নাতের জন্য নিশ্চিত করছে, আমি আমার আখিরাতকে জাহান্নামের জন্য নিশ্চিত করছি!
এসব অনুভূতি থেকেই সে হঠাৎ একদিন আসরের সালাতের জন্য মসজিদে ঢুকে পড়ে। নাবিল এর আগেও বহুবার সালাত আদায় শুরু করেছে কিন্তু অভ্যাসটা ধরে রাখতে পারেনি, বার বার ছেড়ে দিয়েছে। তবে এবার সে আর ছাড়তে চায় না। সে বুঝতে পারলো দ্বীনের উপর টিকে থাকতে ইলমের প্রয়োজন। কুরআন হাদিসের জ্ঞান না থাকলে দ্বীনের প্রতি মহব্বত আসবে না– দ্বীনের উপর টিকে থাকা সম্ভব হবে না।
আর দেরী করল না সে। ঘরে এসেই কম্পিউটারে থেকে সহিহ বুখারী, মুসলিম সহ প্রধান প্রধান হাদিসগ্রন্থগুলো পড়া শুরু করলো। এভাবে সে জ্ঞানের পরিধি আরও বাড়াতে লাগলো। নাবিল পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন হালাকায় নিয়মিত আসা-যাওয়া শুরু করলো। আলেমদের সহচার্যও লাভ করলো। এদিকে তারই মত কিছু ভাইয়ের সাথে বন্ধুত্ব হলো নাবিলের। এভাবে সে একটি ইসলামি পরিবেশও পেয়ে গেল।
নাবিল ইসলাম চর্চা শুরু করার আগে গান শুনতো, নাটক, সিনেমা দেখতো। ইসলামী জ্ঞানের সাথে থাকতে থাকতে নাবিল ঠিক কখন এসব হারাম অভ্যাস ত্যাগ করেছে বুঝতেই পারলো না! সে বুঝতে পারলো দ্বীনের উপরে টিকে থাকতে হলে নিয়মিত ইলম চর্চার বিকল্প নেই। ইলম আর ইসলামী পরিবেশই একজন মুসলিমকে তার দ্বীনের উপর টিকে থাকতে সাহায্য করে।