ফাতহুল বারী – সহীহ বুখারীর সর্বাধিক প্রসিদ্ধ ব্যাখ্যা গ্রন্থ

ফাতহুল বারী – সহীহ বুখারীর সর্বাধিক প্রসিদ্ধ ব্যাখ্যা গ্রন্থ

ফাতহুল বারী শব্দের অর্থ ‘সৃষ্টিকর্তার বিজয়’। বইটির পুরো নাম ফাতহুল বারী বিশারহিল বুখারি।
হাফিজ ইবনু হাজার আসক্বালানী রহিমাহুল্লাহ দীর্ঘ ২৫ বছর সময় ব্যায় করে বইটি লিখেন যা ২৬ খন্ডে সমাপ্ত।
শুধুমাত্র ভূমিকা তথা মুকাদ্দামাহর জন্য লিখেছেন প্রথম ২ টি খন্ড যা হাদিউস সারী (ভ্রমণকারীর পথনির্দেশনা) নামে পরিচিত।

৮১৭ হিজরীতে তিনি ফাতহুল বারী লেখা শুরু করেন। প্রথম দিকে তিনি ইমলা* পদ্ধতিতে শুরু করলেও পরবর্তীতে খাতা-পত্রে লেখা শুরু করেন। পরে একদল যোগ্য আলিম মূল কপি থেকে নকল করে এবং আসল কপি থেকে মিলিয়ে যত্ন এবং সতর্কতার সাথে ৮৪২ হিজরীতে ফাতহুল বারী লেখার কাজ সমাপ্ত করেন।

এ বইতে তিনি অত্যন্ত সুনিপুণভাবে হাদিসের ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেছেন। সহিহ বুখারির হাদিস এবং রাবীদের নিয়ে সংশয়বাদীদের জবাব দিয়েছেন। তিনি হাদিসের ব্যাখ্যা হাদিস দ্বারা করাকেই উত্তম মনে করতেন।

এ গ্রন্থ ছাড়াও তিনি প্রায় ৩০০ টি গ্রন্থ রচনা করেছেন। সেগুলোর মধ্যে সর্বাধিক পরিচিত গ্রন্থ হল বুলুগুল মারাম মিন আদিল্লাতিল আহকাম, তাগলীকুত তা’লীক, আসমাউর রিজাল, তাহযীবুত তাহযীব, তাকরীবুত তাহযীব, লিসানুল মিযান, মুখতারাসুল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ইত্যাদি।

হাফিজ ইমাম হাজার আসক্বালানী রহিমাহুল্লাহ ৫ বছর বয়সে মক্তবে ভর্তি হন এবং ৯ বছর বয়সে কুরআনুল কারীম হিফজ সম্পন্ন করেন। ১২ বছর বয়সে মাসজিদুল হারামে তারাবীহর সালাতের ইমামতি শুরু করেন। ইবনু হাজার আসাক্বালানীর মুখস্থ শক্তি ছিল অনেক বেশি। এজন্য তিনি বিলুপ্তপ্রায় ইমলা পদ্ধতির প্রণয়ন করেন।

* ইমলা হল মুখস্থ বলা এবং তা শোনার মাধ্যমে লেখার এক বিশেষ পদ্ধতি।
সূত্র : হাফিজ ইবনু হাজার আসক্বালানী; জীবন ও কর্ম; ইসলামিক সেন্টার।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *