শুধুমাত্র ১ টি হাদীসের তাহক্বিকের জন্য আবু আইয়ুব আনসারী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু মদীনা থেকে মিসর সফর করেছেন।
জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু একটি হাদীস শোনার জন্য লাগাতার এক মাস সফর করেছেন।
ইমাম রাযী রহিমাহুল্লাহ প্রথমবার ইলম অর্জনের উদ্দেশ্যে বের হয়ে সাত বছর পর্যন্ত একটানা সফর করেছেন।
ইমাম বুখারি রহিমাহুল্লাহ নিজ শহর বুখারা ছাড়াও বালখ, বাগদাদ, মক্কা, বাছরা, কূফা, সিরিয়া, আসক্বালান, হিমস এবং দামেশকের আলিমদের কাছে ইলম অর্জনের উদ্দেশ্যে সফর করেছেন। শেষ পর্যন্ত তাঁর অবস্থা এমন হয়েছিল যে সফরের কারণে তাঁর সমস্ত সম্পদ ব্যয় হয়ে গিয়েছিল। এমনকি পরিধান করার মতো তাঁর কোন কাপড় ছিল না।
নাফে ইবনে আবদুল্লাহ ইমাম মালেক রহিমাহুল্লাহর ছাত্র ছিলেন। তিনি তাঁর নিকট ৩৫-৪০ বছর ইলম অর্জন করেছেন।
আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারাক রহিমাহুল্লাহর উস্তায ছিলেন ১১০০ জন, ইমাম মালেকের ছিলেন ৯০০ জন, হিশাম ইবনে আব্দুল্লাহর ছিলেন ১৭০০ জন উস্তায।
এভাবে ইলমের পথে আমাদের সালাফগণ সম্পূর্ণ জীবন ওয়াকফ করে দিয়েছেন। এমনকি অনেকে ঘর-বাড়ী, সমস্ত সম্পদ এবং জীবনও উৎসর্গ করেছেন।
এভাবে তাঁরা আমাদের দিয়ে গিয়েছেন এক অমূল্য ইলমের ভান্ডার। আজ তাদের কিতাব পড়েই আমরা আজকে হিদায়তপ্রাপ্ত হয়। অন্ধকার ছেড়ে আলোর পথে হাটি। সত্য-মিথ্যার ভেদাভেদ করতে পারি।
তাঁরা যে ইলমের ভান্ডার আমাদের দিয়ে গিয়েছেন সেগুলো কি হেফাজতের দায়িত্ব আমাদের নয়?