ইমাম ইয়াহইয়া আল-লাইসি কিছু ছাত্রের সাথে বসে ছিলেন ইমাম মালিক রহিমাহুল্লাহ –এর দারসে।
ওই সময় একজন বলে উঠল, ‘হাতি এসেছে! তার এই আওয়াজ শুনে দারসের সবাই চলে গেল হাতি দেখতে; কেবল ইয়াহইয়াই বসে থাকলেন দারসে। ইমাম মালিক রহিমাহুল্লাহ তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তুমি কেন হাতি দেখতে গেলে না? তোমার আন্দালুসে তো হাতি নেই!’

উত্তরে ইমাম ইয়াহইয়া বললেন, ‘আমি আমার দেশ থেকে আপনাকে দেখতে এবং আপনার নির্দেশনা ও ইলম শিখতে এসেছি। হাতি দেখার জন্য নয়। তাঁর জবাব শুনে ইমাম মালিক রহিমাহুল্লাহ আশ্চর্যান্বিত হলেন এবং তাঁকে আন্দালুসের জ্ঞানী বলে আখ্যা দিলেন। আর সত্যি সত্যিই এক সময় তিনি আন্দালুসে জ্ঞানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস আবু আসিম আন-নাবিল রহিমাহুল্লাহ। তাঁকে নাবিল উপাধি দেওয়া হয়েছিল। যার অর্থ শ্রেষ্ঠ। একবার বসরায় হাতি আসলাে। তা দেখার জন্য সবাই সেদিকে ছুটে গেল। তখন একমাত্র আবু আসিম ব্যতীত ইবনে জুরাইজ রহ.-এর সকল শাগরেদ মজলিস ছেড়ে হাতি দেখতে বেরিয়ে পড়েছিলেন। শাইখ তাঁকে বললেন, ‘কী হলাে? হাতি দেখতে যাওনি যে? তিনি বললেন, আপনার দারসের তাে অন্য কোনাে প্রতিরূপ নেই। শাইখ তাকে বললেন, ‘তুমি নাবিল! তুমি শ্রেষ্ঠ!
দারসের কোনাে প্রতিরূপ না থাকার অর্থ হলাে, আপনার দারস ছুটে যাবে, এ দারস মহামূল্যবান, এটা তো হাতছাড়া করা যায় না। এ দারস ছুটে গেলে আরেকটা পাব কোথায়? কিন্তু একটা হাতি দেখতে না পারলেও বেঁচে থাকলে আরেকটা দেখতে পাওয়া যাবে।

[ব্যস্ততার এ যুগে ইলম অন্বেষণ]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *