রাসূল ﷺ কথা বলার সময় সঠিক শব্দ চয়ন এবং পরিচ্ছন্ন বাক্যবিন্যাসের মাধ্যমে অত্যন্ত পরিমার্জিতভাবে কথা বলতেন। খুব বেশি বাড়িয়ে বলা পছন্দ করতেন না আবার একেবারে সংক্ষিপ্তও করতেন না। এমনভাবে বলতেন যেন শ্রোতা কোন কষ্ট ছাড়াই বুঝতে পারে। অর্থাৎ তিনি শ্রোতার বুঝ এবং ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ি কথা বলতেন।

যখন আরব নগরবাসী তথা শিক্ষিত সমাজে কথা বলতেন তখন তার বক্তৃতার ধরণ হতো অত্যন্ত উন্নত এবং অধিক মার্জিত। আবার যখন তুলনামূলক কম শিক্ষিত এবং একটু বেয়াড়া গোছের আরব বেদুঈনদের সাথে কথা বলতেন তখন সঙ্গত পন্থায় সাবধানতার সঙ্গে কথা বলতেন। অর্থাৎ তাঁর কথা বলা বা বক্তৃতার ধরণ স্থান এবং সমাজভেদে হতো ভিন্ন।

রাসূল ﷺ তাঁর খেদমতে থাকা দাস-দাসীদের কাজকর্মের কারণে অসন্তুষ্ট হয়ে কখনও উহ্ শব্দটিও করেননি। সেখানে নিন্দা তো অনেক দূরে কথা!
তিনি যখন সাথীদের সাথে কোথাও যেতেন তখন কাউকে পেছনে ফেলে আসতেন না। সবাইকে সাথে নিয়ে চলতেন।

সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *