জুবায়র ইবনু মুত‘ঈম রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেন,
আমার পাঁচটি (প্রসিদ্ধ) নাম রয়েছে, আমি মুহাম্মাদ, আমি আহমাদ, আমি আল-মাহী আমার দ্বারা আল্লাহ্ কুফর ও শির্ককে নিশ্চিহ্ন করে দিবেন। আমি আল-হাশির আমার চারপাশে মানব জাতিকে একত্রিত করা হবে। আমি আল-আক্বিব (সর্বশেষে আগমনকারী)।
[বুখারী, মুসলিম]

মুহাম্মাদ
মুহাম্মাদ শব্দের অর্থ হলো প্রশংসিত। রাসূল ﷺ এর এই নামটি রাখেন তাঁর দাদা আব্দুল মুত্তালিব। তখনকার সময়ে আরববাসীগণের নিকট এই নামটি ছিল একটি অভিনব নাম। পবিত্র কুরআনে ৪ টি স্থানে মুহাম্মাদ নামটি এসেছে (আলে ইমরান ৩/১৪৪; মুহাম্মাদ ৪৭/২; ফাতহ ৪৮/২৯; আহযাব ৩৩/৪০)। এছাড়া মুহাম্মাদ নামে পুর্ণাঙ্গ একটি সূরা কুরআনে আছে। সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

আহমাদ
আহমাদ অর্থ ‘যিনি প্রশংসা করেন’। সবচেয়ে বেশি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘তাআলার প্রশংসা করতেন যিনি তিনি হলেন রাসূলুল্লাহ ﷺ। পবিত্র কুরআনে এই নামটি একবার এসেছে (সূরা আস-সফ্ ৬১/৬)।

আল-মাহী
আল-মাহী অর্থ যিনি মুছে দেন, নিশ্চিহ্ন করে দেন। নবুওয়াত প্রাপ্তির আগে মানুষ শির্ক কুফর, কুসংস্কার ইত্যাদিতে লিপ্ত ছিল। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা এগুলো রাসূল ﷺ এর দ্বারা নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছেন।

আল-হাশির
আল-হাশির অর্থ যার মাধ্যমে একত্রিত করা হয়। হাশরের দিনে রাসূল ﷺ কে ঘিরেই সবাই একত্রিত হবে। কেউ যখন আল্লাহর সামনে সুপারিশ করার অনুমতি পাবেন না তখন রাসূল ﷺ কে সুপারিশ করার অনুমতি দেওয়া হবে।

আল-আক্বিব
আল-আক্বিব অর্থ সর্বশেষ আগমনকারী। রাসূল ﷺ খাতামুন নাবিয়্যীন। তাঁর পরে কোন নবী বা রাসূল আসবেন না। তাঁর মাধ্যমেই নবুওয়াতের ধারাবাহিকতা সমাপ্ত হয়েছে।

উপরের ৫ টি প্রসিদ্ধ নাম ছাড়াও কুরআন এবং হাদিসে রাসূল ﷺ এর অসংখ্য উপাধিপ্রাপ্ত, গুণবাচক এবং বৈশিষ্ট সম্বলিত নাম রয়েছে যেমন : রাহমাতুল্লিল আলামিন, মুতাওয়াক্কিল, খাতামুন নাবিয়্যীন, মুস্তাফা ইত্যাদি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *