আলি কাজবার রাহিমাহুল্লাহ মিসকিইয়াহ বাজারের একজন দর্জি ছিলেন। শাইখ আলি তানতাবি রাহিমাহুল্লাহ বলেন, ‘আলি তাে ছিলেন উমাইয়া আমলে মসজিদের দরজা।’ কাজ শেষে তিনি দোকান বন্ধ করে মসজিদে গিয়ে ইলমি মজলিসে বসতেন। সেখানে তিনি পড়তেন, শিখতেন, গভীর অধ্যয়নে ডুবে থাকতেন। এমনকি একটা সময় তিনি দরসে শাইখের সামনেও পড়তে লাগলেন। এ সময় তিনি দোকানও ছেড়ে দেননি, তার কাজও ছাড়েননি, ইলমও ছাড়েননি। এভাবে বেশ কিছু সময় চলতে থাকল। তিনি সকল বিষয়ে ব্যাপক পাণ্ডিত্য অর্জন করলেন। অবশেষে একদিন শাইখ মারা গেলে সেই হালাকায় উপস্থিত হন গভর্নর, বিশেষ ব্যক্তিবর্গ ও বড় বড় লােকজন। তারা শাইখের ইনতিকালের পর আজ প্রথম দরসের উদ্দেশ্যে এসেছিলেন। তারা এসে খুঁজতে লাগলেন যে, শাইখের পর কে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হবেন? কিন্তু কাউকেই খুঁজে পাওয়া গেল না। অতঃপর তারা পরীক্ষা করতে শুরু করলেন যে, কে এই দায়িত্ব পালন করতে পারবেন? কিন্তু কাউকেই এমন যােগ্য পেলেন না যে, শাইখের এ দরস চালিয়ে যাবেন। অবশেষে তারা আলি কাজবারের খোঁজ করতে লাগলেন। খুঁজতে খুঁজতে শাইখ আলি কাজবার রহ.-কে পেলেন। তিনি তাঁর দোকানে কাপড় সেলাই করছিলেন।
তারপর তারা তাকে নিয়ে আসলেন। এরপর তিনি দরস দিতে আরম্ভ করলেন। তিনি এমনভাবে দরসে ব্যাখ্যা করতে লাগলেন যে, উপস্থিত সকলে হতবাক হয়ে গেল। এভাবে তিনি একজন দোকানদার হয়েও দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ দরস চালিয়ে যান। তাঁর পরে তাঁর বংশধরেরা মসজিদে খুতবা দেওয়ার দায়িত্বে আজও আছেন।
[ব্যস্ততার এ যুগে ইলম অন্বেষণ – শাইখ মুহাম্মাদ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ]