জীবন বিপদ বা পরীক্ষাবিহীন নয়। বিপদ বা পরীক্ষা আমাদের জীবনের অংশ। দুনিয়াটা জান্নাত নয়। জান্নাতে কোনো বিপদ থাকবে না। দুনিয়ার এই ছোট-বড় বিপদগুলো কাটিয়ে উঠে কীভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় তার দিকনির্দেশনা ইসলাম আমাদের দিয়েছে। সেটি দুটি ভাগে বিভক্ত :

১। পরামর্শ করা : আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন,
وَشَاوِرْهُمْ فِى الْأَمْرِ ۖ فَإِذَا عَزَمْتَ فَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ
কাজে কর্মে তাদের সাথে পরামর্শ করুন, তারপর আপনি কোন সংকল্প করলে আল্লাহ্‌র উপর নির্ভর করবেন [সূরা আলে-ইমরান: ১৫৯]।

রাসূল ﷺ নিজেও অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় সাহাবীদের সাথে পরামর্শ করতেন। আমরা জানি একবার মুনাফিকরা আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহার নামে দূর্নাম রটিয়েছিল। আল্লাহর রাসূল ﷺ জানতেন আয়েশা ছিলেন নিষ্কলুস। তারপরও তিনি সাহাবীগণের নিকট পরামর্শ চেয়েছিলেন। অবশেষে তিনি ‘আলী ও উসামা (রা.)-এর পরামর্শ গ্রহণ করেন।

উহুদ যুদ্ধে তিনি ﷺ সাহাবীদের নিকট থেকে পরামর্শ নেন যে, মদীনার ভিতরে থেকেই যুদ্ধ করতে হবে, নাকি বাইরে গিয়ে মুশরিকদের মুকাবিলা করতে হবে? অধিকাংশ লোক মদীনার বাইরে গিয়ে যুদ্ধ করারই অভিমত প্রকাশ করেন। অতএব তিনি তাই করেন।
এভাবে তিনি খন্দকের যুদ্ধ, হুদাইবিয়ার সন্ধিসহ বিভিন্ন গরুত্বপূর্ণ সময়ে সাহাবীদের সাথে পরামর্শ করেছেন।

২। ইস্তিখারার সালাত : পরামর্শই শুধু নয়। আপনি যে সিন্ধান্তটা নিচ্ছেন তাতে যেন বারাকাহ থাকে। দুনিয়া-আখিরাতের কল্যান থাকে সেজন্য আল্লাহর কাছে চাইতেও হবে ইস্তিখারার সালাতের মাধ্যমে। জাবের ইবন আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাদেরকে প্রত্যেক কাজেই ইস্তিখারা (তথা কল্যাণ কামনার সালাত ও দো‘আ) শিক্ষা দিতেন, যেরূপভাবে আমাদেরকে কুরআনের সূরা শিক্ষা দিতেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *