ইবনু ‘আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, নবী ﷺ কল্যাণের কাজে ছিলেন সর্বাধিক দানশীল, বিশেষভাবে রামাদান মাসে (তাঁর দানশীলতার কোন সীমা ছিল না) কেননা, রামাদান মাসের শেষ পর্যন্ত প্রত্যেক রাতে জিব্রীল আলাইহিস সালাম তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন এবং তিনি তাঁকে কুরআন তিলাওয়াত করে শোনাতেন। যখন জিব্রীল আলাইহিস সালাম তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন তখন তিনি কল্যাণের জন্য প্রবহমান বায়ুর চেয়েও বেশি দানশীল হতেন। [বুখারি : ৪৯৯৭]

আরেকটি হাদিসে আছে, রাসূল ﷺ এর ওফাত এর বছরে জিব্রিল আলাইহিস সালাম রাসূল ﷺ -কে দু’বার কুরআন শুনিয়েছেন। রাসূল ﷺ রমাদানে ১০ দিন ই’তিকাফ করতেন কিন্তু সে বছর তিনি ২০ দিন ই’তিকাফ করেন। [বুখারি : ৪৯৯৮]

এই হাদিস দুটি থেকে আমরা রাসূল ﷺ এর রামাদান মাসের ৩ টি সুন্নাহ খুঁজে পায় :
– বেশি বেশি কুরআন পাঠ করা
– বেশি বেশি দান-সাদকা করা
– ইতিকাফ পালন করা

আমরা যেন রামাদান মাসকে রাসূল ﷺ -এর সুন্নাহ বেশি বেশি পালন করার মাধ্যমে কাজে লাগাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *