আল্লাহ ১২ টি মাসের মধ্যে ৪ টি মাসকে অন্যগুলোর উপর অধিক মর্যাদা দিয়েছেন। যেমন তিনি শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন সকল মানুষ আর নবী রাসূলগণের মধ্যে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে, সপ্তাহের ৭ টি দিনের মধ্যে জুম‘আর দিনকে, রাতগুলোর মধ্যে ক্বদরের রাতকে, পৃথিবীর স্থানগুলোর মধ্যে হারামাইনের মতো বিশেষ কিছু স্থানকে।
ঠিক এভাবেই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা ১২ মাসের মধ্যে অধিক মর্যাদা দিয়েছেন ৪ টি মাসকে।
এ ৪ টি মাস হলো : যুলক্বা’দাহ, যুলহিজ্জাহ, মুহাররাম ও রজব [সহিহ বুখারি]।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন,
إِنَّ عِدَّةَ ٱلشُّهُورِ عِندَ ٱللَّهِ ٱثْنَا عَشَرَ شَهْرًا فِى كِتَـٰبِ ٱللَّهِ يَوْمَ خَلَقَ ٱلسَّمَـٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضَ مِنْهَآ أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ ۚ ذَٰلِكَ ٱلدِّينُ ٱلْقَيِّمُ ۚ فَلَا تَظْلِمُوا۟ فِيهِنَّ أَنفُسَكُمْ
অর্থ : আসমান-জমিন সৃষ্টির দিন থেকেই আল্লাহর কিতাবে মাসগুলোর সংখ্যা হল ১২ টি। তার মধ্যে ৪ টি হারাম মাস। এটি হল সুপ্রতিষ্ঠিত দ্বীন। সুতরাং তোমরা এই মাসগুলোর মধ্যে নিজেদের উপর যুলম করো না… [আত-তাওবা : ৩৬]।
ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, এই আয়াতে সবগুলো (১২ টি) মাসের ইতিহাস বলা হচ্ছে এবং এরপর সেখান থেকে আল্লাহ ৪ টি মাসকে খাস করেছেন এবং সেগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। সেগুলোর নিষিদ্ধতাকে গুরুতর বলে উল্লেখ করেছেন, সে মাসসমূহের গুনাহকে মহা অপরাধ গণ্য করেছেন এবং সে মাসসমূহের নেক কাজ ও সওয়াবকেও মহান করেছেন।
কাতাদাহ রহিমাহুল্লাহ বলেন, নিশ্চয় হারাম মাসসমূহে যুলুম করা অন্য মাসসমূহে যুলুম করার চেয়ে অধিক মারাত্মক গুনাহ। যদিও যুলুম সবসময়ই মারাত্মক। কিন্তু, আল্লাহ্ তাআলা নিজ ইচ্ছায় তাঁর কোন কোন নির্দেশনাকে অতি মহান করে থাকেন।
সূত্র : ইসলামকিউএ.ইনফো