মুসলিমদের অনেক গৌরবোজ্জল ইতিহাসের একটি হল বিশ্বে প্রথমবারের মত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা। উমাইয়া খলিফা ওয়ালিদ ইবন আব্দুল মালিকের শাসনামালে (শাসনকাল ৮৬ – ৯৬ হিজরি) প্রথম ইসলামি হাসপাতাল নির্মিত হয়। হাসপাতালটি ছিল কুষ্ঠরোগের জন্য বিশেষায়িত। এ হাসপাতালটির পর মুসলিম বিশ্বে অনেকগুলো হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়।

হাসপাতাগুলোকে বিমারিস্তান নামে ডাকা হত। বিমারিস্তান অর্থ রোগী সেবাকেন্দ্র। হাসাপাতালগুলোতে শুধু চিকিৎসায় হত না বরং চিকিৎসা নিয়ে পড়াশোনাও হত। আজকের যুগে আমরা যাকে মেডিকেল কলেজ বলে থাকি। এজন্য হাসপাতালগুলোকে বলা হত– চিকিৎসা বা জ্ঞানের দূর্গ।

স্থায়ী হাসপাতালের পাশাপাশি মুসলিম বিশ্বে ভ্রাম্যমাণ হাসপাতালের প্রচলনও ছিল। উঠের পিঠে চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত চিকিৎসা-সরঞ্জাম ও ওষুধপত্র এবং সাথে কয়েকজন চিকিৎসকসহ হাসপাতালগুলো চিকিৎসা দেওয়ার জন্য পৌঁছে যেত গ্রাম, মরুভূমি কিংবা পাহাড়ি এলাকায়।

মুসলিম বিশ্বে যেসব হাসপাতাল বিশেষ অগ্রগতি সাধন করেছিল তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল–

বাগদাদের আল-আদুদি হাসপাতাল, প্রতিষ্ঠাকাল ৩৭১ হি.
দামেশকের আন-নুরি হাসপাতাল, প্রতিষ্ঠাকাল ৫৪৯ হি.
কায়রাের আল-মানসুরি বড় হাসপাতাল, প্রতিষ্ঠাকাল ৬৮৩ হি.

আর স্পেনের কর্ডোভাতেই ছিল ৫০ এর বেশি হাসপাতাল।

তথ্যসমূহের উৎস : বই; মুসলিমজাতি বিশ্বকে কী দিয়েছে, ড. রাগিব সারজানি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *